-
- গৌরীপুর, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- তটিনীর পাড়ে তরনী শানে : অনামিকা সরকার
||
- প্রকাশিত সময় : মে, ৩০, ২০২০, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
বৈশাখের দাবদাহে একটু
শ্বাস নিতে ছুটে গিয়েছিলাম,
আমার ছেলেবেলার সেই গায়েঁ
তটিনীর পাড়ে তরনী শানে।
বৈঠা হাতে নিয়ে তরনী তে বসে
এপাশ ওপাশ করি
বৈঠায় হাল ধরি।
পাঁচ সিকি যদি দাও
তবে করবো পাড়,
তরনী মোর বিশাল আকার
কূল নাহি দেখি
এপাড় ওপাড়।
বৈঠা বাই মাঝ দরিয়াতে
শুধু চলছি দিক নির্দেশনার পান্জেরীতে।
কবির পংক্তমালা
সুন্দর সাজানো,
কমলা পারের নীলাচল শাড়ী
কম্বিনেশনে শ্বেত শুভ্র রং মিশ্রানো।
গ্রীস্ম কাল নির্মল আকাশ
থেকে থেকে কালো মেঘ
ঢাকি চারপাশ।
তরুনী শ্বেত সুন্দর সন্ধ্যা
অতি মনোহর,
সুখশয্যা সুখাতীত
বড়ই বিমূঢ়।
রুপসী বাংলার চিত্র সিন্ধ মধুময়
বিরহী তরুনীর নয়নে ভাসে,
প্রেমের গীত ছন্দময়।
অলকার পানে বলাকা দু’টি
মেঘদূত মনোরমী,
সতীপতি বলাকার সাথে
সিন্ধ ধরনী।
নৌকা কি আর হেথায় ফিরিবে
যেখানে ধায় মোর প্রান,
অপেক্ষা সেথায় করবো আমি
তীরে আসবে মাঝিগন।
আপন ঘর আমার
তটিনীর কিনারেতে,
খেয়াঘাটের তরনী তে বসে
জোয়ারে ভাসবো মনের সুখে,
বৈঠা চালায়ে হারিয়ে যাবো আমি
অচিন্ত্য দূর দেশে,
কাশবন গুলো দেবে হাত ছানি
ভিড়বো না আর এই খেয়াঘাটে।
এই বিভাগের আরও খবর